আজ বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সদস্যদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বিদেশ থেকে চিনি কম দামে আনা যায়। তাই দেশে চিনিশিল্প রাখা উচিত নয়। কেননা এই শিল্পকে ট্যারিফ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চিনিশিল্প পুরোপুরি আখের ওপর নির্ভরশীল নয়। এই শিল্পকে ট্যারিফ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। অথচ বিদেশ থেকে আমদানি করলেই আমরা এই চিনি কম দামে পেতে পারি। কাজেই আমার মতে, চিনিশিল্প রাখা উচিত নয়।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আগামীতেও সরকার গঠন হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার আবার ক্ষমতায় আসবে। এ বিষয়ে আমি দৃঢ় আশাবাদী। তখন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে নতুন উদ্যমে কাজ হবে।’
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘এবারের বাজেটে মানবসম্পদ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্যানিটেশন খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তবে বরাদ্দ বেশি থাকবে পরিবহন ও জ্বালানী খাতে। ৩০ জুন বাজেট পাস হবে। বাজেটের আকার ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার মতো হবে। আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সেটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তবে এই ফিগারকে (হিসাব) স্ট্যান্ডার্ড ধরে আকার চূড়ান্ত করা হবে।’
মুহিত বলেন, আগামী বাজেটে স্কুল বাস নামানোর বিষয়ে ঘোষণা থাকবে। বর্তমানে দেশে করপোরেট ট্যাক্স বেশি। আগামী বাজেটে এটা কিছুটা কমানো হবে। তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছর শেষে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে। করপোরেট করহার এ বছরের বাজেটে পরিবর্তন (কমানো) করা হবে। তবে ট্যাক্সের পরিধি বাড়বে। আমরা আশা করছি, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ৫০-৬০ শতাংশ লোক ট্যাক্স দেবে।’
(দুরন্ত নিউজ রিপোর্টার )